নববর্ষ উদযাপনে ওড়ানো ফানুসে রাজধানীর প্রায় ১০ স্থানে আগুন লেগেছে। শনিবার ( ১ জানুয়ারি ) রাত ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন রাজধানীর ১০স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঢাকা হাবকে জানান।
তিনি আরো জানান, রাজধানীর তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, রায়েরবাগসহ মোট রাজধানীর ১০ স্থানে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়া গেছে। প্রতিটি স্থানে ফায়ার সার্ভিসের ২টি করে ইউনিট পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে আরও বলা হয়, বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি । সেগুলো আমরা তালিকাভুক্ত করছি। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে মাতুয়াইল স্কুল রুটের একটি বাড়িতে বড় আগুন লাগার খবর পেয়েছি আমরা। সেখানে আমাদের দুইটি ইউনিট গেছে।
অফিসার আরো জানান, রাজধানীর তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, সূত্রাপুর, পোস্তগোলা, ধানমণ্ডি, রায়েরবাগসহ মোট ১০টি বাসার ছাদ ও সড়কের তারে লেগে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রতিটি স্থানে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা অমান্য করেই ঢাকায় থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করছেন অনেকে। এ কথা বলেন এই অফিসার।
থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ অনিরাপত্তার কিছু নেই। তিনি বলেন, মানুষ বাড়িতেই তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উদযাপন করছে। পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে। নতুন বছর সবার ভালো কাটুক এ দোয়া করি।
পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আরেকটু ব্যাটার নগর, নিরাপদ নগর। মানুষ যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সামনের বছরটি কাটাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার জন্য। মানুষকে ভালোবেসে তার বিপদের দিনে পাশে থাকার জন্য আমরা চেষ্টা করি। সামনের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই, সহমর্মিতা চাই। তাদের সাথে নিয়ে আমরা একটি নিরাপদ নগর গড়ে তুলতে চাই।
আতশ বাজি ফোটানো বন্ধ করতে না পারার বিষয়ে ঢাকা হাবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন খোদ ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। রাজধানীর ১০ স্থানে আগুন লাগায় তিনি আন্তরিকভাবে দুঃক্ষিত বলেও জানান।