লঞ্চ অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরো ২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এক স্বজনহারা ঝালকাঠি থানায় এই মামলা করে। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জন লঞ্চ কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আসামিরা হলেন, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল। দুই চালক মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানী আহসান ও কেরানী কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও ওসি জানান।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আবেদন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। ওই মামলায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।