
লেখক হতে আর লাগে কি!
তুখোড় মেধাবী ছাত্র। স্কুলকালে বাংলা স্যার একান্তে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, পরীক্ষার খাতায় লেখা নৌকা ভ্রমণের উপর তোর রচনাটা বেশ হয়েছে। তোর লেখার হাত আছে।
কথা হচ্ছিল স্যারের বাসায়। স্যারের কথার চাইতে তার নজরটা বারবার ছুটে যাচ্ছিল স্যারের ডবকা মেয়েটার দিকে। আড়চোখে তাকেই দেখছিল। মেয়েটাও বোধহয়।
স্যার যখন ভরা ক্লাসে তার সম্পর্কে একই কথা আবার বললেন, তখন তার বুকের চৌহদ্দি না বেড়ে আর থাকল না। স্যার তাকে মনোযোগ দিয়ে তার প্রতিভার চর্চা অব্যাহত রাখতে বললেন।
স্যারের কথা মেনেই সে পড়াশুনোয় যেমন মনোযোগ দিল, তেমনি প্রেমপত্র লেখাতেও। তা মফস্বল শহরের আট দশ ঘরে সে পত্র বিলিও হলো বটে।
প্রতিভার স্ফুরণ ঘটল বিসিএস ক্যাডার হয়ে। ছাত্রকালে রচনা/ Essay আর love letter/ প্রেমপত্র চর্চায় যে পারদর্শিতা অর্জন করেছিল, আমলাগিরিতে তেমনি ফাইল চর্চায় কৃতিত্বও কম নয়। তা প্রমোশনের জন্য দু একটা রচনা/ Essay লিখতে হয়েছে বৈকি। যেমন এককালে: সবুজ বাংলা বিকাশে খাল কাটার মহান দর্শন। আর সাম্প্রতিক: মহাকালের মহানায়ক।
এ দফতর সে দফতর ঘুরে ঘুরে তার পোস্টিং হলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে। এখানে এসেই তার বোধোদয় ঘটল: সে তো ভালো রচনা লিখতেও জানে।
একাডেমির কর্তারাও তাকে এসে ধরল। সে একাডেমির জীবন সদস্যও হয়ে গেল। ভালো রচনা লিখতো। চৌকস আমলা। সংস্কৃতি জগতের প্রশাসক।