
শরতের শিউলি
শরতের জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের মৃদু আলোতে,
ফুল কুঁড়াবো মোরা।
শরতের রাতে শিশির ফোঁটা ঝড়ে,
গড়িয়ে গাছের ডালে।
নিশি রাতে শিউলি পাপড়ি পড়ে,
সৌন্দর্য তার রূপে মুগ্ধ তার ঘ্রাণ।
শিশির ভেজা হাতে যদি কুড়াতে চাও
তবে, চলে এসো মোর ইন্দ্রপুরে।
শিশির ভেজা ঝরেছে ফুল গাছ তলে,
কে কে যাবে ফুল কুঁড়াতে ছুটে যাবো দলবেঁধে।
কুঁড়াবো মোরা শিউলি ফুল,
ভরবো মোরা ঝুড়িতে ফুল।
রঙিন সুতায় গাঁথবো মালা,
হাতে পড়াবো শিউলি বালা।
আরো দিবো চুলে গুঁজে শিউলি ফুল
সাদা কমলায় সাজিয়ে।
বানাবো তোমায় শরতের রাণী।
এই দেখে বলবে সবাই আজ আসিনি, করেছি ভুল,
তবে মোড়া আসবো কাল শুধাবো ভুল।
মায়ের কাছে চিঠি
মাগো বড্ড জানতে ইচ্ছা করে
তুই আছিস কেমন?
কতদিন দেহিনা তোর মুখ খানা।
মাগো এহনো কি তুই রাত জেগে থাকিস বসে
তোর এই পাগল সোনামণির জন্য
মাগো কত দিন তোর হাতের পাকন পিঠা খাঁই না।
তয় আমি তোর অভাব শহরে খুব টের পাই রে মা,
মাগো তুই দেখিস নাই
শহরের মানুষগুলা কতটা যানজট
না না মা তুই তো দেহিস নাই’
তুই তো আমার গঞ্জের সহজ সরল মা
মাগো রাতের অন্ধারে তোর অভাবটা খুব টের পাই,
মাগো এহানে কেউ তোর মত করে আদর দেয় নারে
কেউ বলে না মা”বাপজান” আয় আমার কোলে।
মাগো তবে আমি অহন কিন্তু অনেক বড় হইছি,
দেহিস না মা তোর ছাড়া
আমি একা থাকতে পারি,
তোর কোলে ঘুমাতে চাই না
মাগো তুই কেমন আছিস?
মাগো বড্ড জানতে ইচ্ছা করে,
এহনো তোর লগে কথা বলি
তুই কি গঞ্জে থেকে হুনতে পারিস মা
মা ও মা আমি ডাহি তোরে তুই হুনতে পাশ মা।
ও তুই হুনবি কেমনে তুই তো আছোস ছোট গাঁয়ে
যেহানে এই চিঠি ছাড়া আর কিছু যাই না।
মাগো কতদিন দেহিনা তোর মুখ হুনি না তোর কথা
কত দিন হুনি না তোর মুখের বাপজান ডাক।
মাগো তুই বলেছিলি তোর বাপজান অনেক বড় হইবো
হত্যি মা আমি এহন অনেক বড় হইছি মা
তোয় বড় হইয়ে লাভটা কি
হুনি না তোর বাপজান ডাক।
বড় ইচ্ছা হয় মা তোর মধুর গলায় বাপজান হুনতে
মাগো মা তুই কেমন আছিস
বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।