সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। তবে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন শীতের দাপটে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকাতেও অনুভূত হচ্ছে শীতের তীব্রতা।
শুক্রবার দেশের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলজুড়ে শুরু হয় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজ তা আরও নতুন নতুন অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে।
তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত আর শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি ও শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
শৈত্যপ্রবাহ আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে কেটে যেতে পারে। একই সঙ্গে ফেব্রুয়ারির শুরুতে অর্থাৎ মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টির দেখাও মিলতে পারে।
আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার দিনই (শুক্রবার) দেশের উত্তরের জেলার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই ছিল চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়
তবে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে। এ দুটি স্থানে তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুরে শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭.৫, সৈয়দপুরে ৮.০, রংপুরে ৯.২, ডিমলায় ৮.৯, নওগাঁয় ৮.০, রাজশাহীতে ৮.৯, চুয়াডাঙ্গায় ৯.০ ও শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।