গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বেড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের । আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪ হাজার ৩৭৮ জন। সংক্রমণ বেড়েছে গতকালের চেয়ে আরো বেশি।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট। ২৮ হাজার ১২৯ জন। মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুই ও নারী চারজন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ ও বেসরকারি হাসপাতালে একজন মারা যান।
করোনায় মৃত ছয়জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিন, চট্টগ্রামে দুই এবং রাজশাহী বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৫১ জন। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৩টি ল্যাবরেটরিতে ৩০ হাজার ৩৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ আট হাজার ৯২ জন।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ ২০২০ সালে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর সেই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।