
সকালের খাবার নিয়ে অনেকেই অবহেলা করেন। সকালের খাবার না খেলে কার্যপ্রবণতা কমে যায়। কেউতো সকালে একেবারেই কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। রাতের খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘ ১০-১২ ঘণ্টা পেট খালি থাকে। তাই সকালের খাবারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। । এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে সকালের খাবার গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাবার ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে।
পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি সকালের খাবার বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।
সকালের খাবার না খেলে কার্য প্রবণতা কমে যায়
সকালের খাবার তাই সুষম হতে হবে। আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে।
সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। সকালের খাবার খাওয়া উচিত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে। মনে রাখতে হবে রাতের খাবার ও সকালের খাবারের মধ্যে ব্যবধান যেন বারো ঘণ্টার বেশি না হয়।
সকালে যে সব খাবার উপকারী
সকালে আটার রুটি খাওয়া ভালো। রুটির সঙ্গে সবজি, ভাজি, ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। ওটমিলও খাওয়া যেতে পারে। এই খাবার সারা দিনের এনার্জি বাড়াবে।
ওটে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬।
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালরিও থাকে বেশ কম। সকালের অবশ্যই ডিম উত্তম। নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে কলা, আপেল, কমলা, আঙুর ।
সকালে খিচুড়িও খাওয়া যেতে পারে। তা হবে অবশ্যই সবজিদিয়ে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের গঠনে কাজ করে।