সারা বাংলা

নীরব নেসকো

সৈয়দপুরে অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) অফিস থেকে ১শ’ গজ দূরে আর বিসিক শিল্পনগরীর ঠিক বিপরীতে রাস্তার অপরপাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরী। তাও আবার চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে। দীর্ঘ দিন ধরে প্রকাশ্যেই উৎপাদন, বিপণন ও সরবরাহ কার্যক্রম চালালেও নির্বিকার প্রশাসন।

সচেতন মহল বার বার তথ্য দিয়ে ও অভিযোগ করার পর নেসকো কর্তৃপক্ষ সত্যতা পেয়েও যেমন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা জরিমানা করেনি তেমনি বিসিকও জানার পর কোন পদক্ষেপ নেয়নি অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে নিয়ামতপুর এলাকায়।

জানা যায়, বিসিক শিল্প নগরীর সামনে মেহেদী গোডাউন ঘর সংলগ্ন কাদের নামে একব্যক্তি দীর্ঘ দিন থেকে পলিথিন ফ্যাক্টরী স্থাপন করেছে। সেখানে মেশিন চালাতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ সংযোগটিও অবৈধ। সোমবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে নেসকো অভিযান চালায় এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটিতে।

এসময় দেখা যায় ফ্যাক্টরীতে ব্যবহৃত মিটারটির মালিক জুলফিকার নামে এক ব্যক্তি। যার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই ওই ফ্যাক্টরী, অবকাঠামো বা জমির মালিকানার সাথে। অথচ দিনের পর দিন সেই মিটারেই চালানো হচ্ছে ফ্যাক্টরীর একাধিক বিদ্যুৎ চালিত মেশিন।

তাছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগটি আবাসিক হিসেবে নেয়া আর চালানো হচ্ছে শিল্প কার্যক্রম। এতে বাণিজ্যিক হিসেবে বিদ্যুৎ বিল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। মূলতঃ রাজস্ব ফাঁকি দিতেই মিটারের মালিকানা ও ধরণ পরিবর্তন করেনি পলিথিন ব্যবসায়ী কাদের। এতে বিপুল অর্থের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেসকো তথা সরকার।

এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও নেসকো সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ এমন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ জরিমানা বা মামলা করার নিয়ম। এসবের কিছুই করা হয়নি। ফলে বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ পন্য উৎপাদনের কারখানা।

এদিকে বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষও নির্বিকার। শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সকল শর্ত ভঙ্গ করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ঠিক বিসিকের পাশেই এমন একটি বেআইনি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে। অথচ তারা ওয়াকিবহাল নয়। জানার পরও আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সকল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছিল পলিথিন ফ্যাক্টরীটি? তা না হলে এমন আইন বহির্ভূত আচরণ কেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের?

নেসকো সৈয়দপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, পলিথিন ফ্যাক্টরী মালিককে সময় দেয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য। না দিলে পরিবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরির মালিক কাদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button