
হবে কি তোমা সর্বনাশ?
আমার গহনে তুমি পলাশের রঙে দিলে রাঙিয়ে,
মনপাবনের নতনৃত্তে হলেম রিনিঝিনি ডিঙিয়ে।
দাও গো সেই চেনা ভালোবাসা যা ছিল পাওনা,
সপ্তদশীর ঝলকে ছিলেম বিভোর কিশোরী আনমনা।
তুমি ছিলে একুশের বলীয়ানে টাগরা যুবাশশীর যুবা,
মিতালীর রোমন্থনে রমণীয়া উজ্জীবিত টগর জবা।
সেদিন ছিল সন্ধাতারার উকিঝুকি হিমশীতল বারতা,
বালুকায় চারিপাশ আঁধারিয়া তব চাঁদিনী উষ্ণতা।
মিষ্টি আবেশনে গেলেম হারিয়ে কঙ্কিত কাকলিয়া ঝরে,
চমকিত আমি চপলিয়া তীরের গাহনে কাঁপুনি থরে থরে।
গগনঝরা বাতায়নের আভায় থমকিত হই তোমা বাহুডোরে,
ভীতুমামা এল শঙ্কিত আড়ষ্টে তনুমনে।
হঠাতের তাড়ণায় অজানা আতঙ্কিত হৃদয়ের ঢিবঢিব,
পেয়েছি কি, না দিয়েছি কি, না করিলাম সেই হিসেব।
শুধু জানিলাম আফসোসের ঢালি সাজিয়েছি কুলেতে,
তোমা স্পর্শ, না তোমা স্বপ্নকে না পারিলাম ছোঁয়াতে।
হাহাকারের ক্রন্দন হয়নি কো জমা তৃপ্তির ঢালায়,
অপেক্ষার ঢালি সাজিয়েছি তোমা বিহনে সরলায়।
মোছেনি কো আজো স্মৃতিপটের সেই মধুর আবেশে,
পথের দহনে চলছি আঁকাবাঁকা জীবনের পরমেশে।
ধনুকের আস্ফালনে তীরবেগে ফের এলে তুমি,
হতবাকের করাতলে আবদ্ধ রেণুকার বেশে।
কি করিব হায় এ ধরা তায় দোলাচলের বসবাস,
মিটিয়ে যদি দাও আমার পাওনা, হবে কি তোমা সর্বনাশ?