
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ১৪ বছর আগে ধারাবাহিক বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। বাকি ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত ৪৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন গুজরাটের একটি বিশেষ আদালত। বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই তারিখে ৭০ মিনিটের ব্যবধানে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ২১টি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় মোট ৫৬ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
এ হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠী হরকাতুল-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি জড়িত থাকার দাবি করেছিল। পরে পুলিশের তদন্তে ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্টুডেন্টস মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার নেতা সাফদার নাগোরি।
প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের মূল লক্ষ্য ছিল আহমেদাবাদের হাসপাতালগুলো। নিহত ৫৬ জনের মধ্যে আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালের বিস্ফোরণেই প্রাণ যায় ৩৭ জনের। এলজি হাসপাতালেও একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে সেখানে কেউ আহত বা নিহত হয়নি।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে এই জঙ্গি সংগঠন দাবি করে। বিস্ফোরণের কয়েক দিন পরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আহমেদাবাদ এবং সুরাটে ৩৫টি ভিন্ন মামলা নথিভুক্ত করা হয়। বোমা বিস্ফোরণের জন্য আহমেদাবাদে মোট ২০টি এবং সুরাটে মোট ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়।