Sub Lead Newsক্রিকেটখেলাধুলা

ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের হার, ৬ উইকেটের জয় খুলনার

সাগরিকায় ফিরে জয়ের হাসি ধরে রাখতে পারল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সমুদ্র পাড়ে গর্জন খুলনা টাইগার্সের। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটের জয় খুলনার চট্টগ্রামের মাঠে। চট্টগ্রাম পর্বে সব মিলিয়ে ৪টি ম্যাচ খেলবে চট্টগ্রাম। যার শুরুটা হলো পরাজয় দিয়ে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলে চট্টগ্রাম। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। মুশফিকের রানে ফেরার দিনে অর্ধশতক করেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। এতে ৬ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান করে নাবিল সামাদের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কেনার লুইস। দ্বিতীয় উইকেট ওপেনার উইল জ্যাকসের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তাদের যৌথ চেষ্টায় পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৭ রান জমা করে চট্টগ্রাম।

দলকে বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি করে জ্যাকস ২৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন পেরেরার বলে ইনসাইড এজ হয়ে। এতে ৫৭ রানের জুটি দুজনের। সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমান। তাকে শিকার করেন সেকুগে প্রসন্ন। সাব্বির ফেরেন ৪ রান করে। আফিফের সাথে ১৯ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শেখ মেহেদীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন চট্টগ্রামের অধিনায়ক।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেনি হাওয়েল পেরেরার বলে তার হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এদিন তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। তবে অন্যপ্রান্তে রান তোলার কাজ ঠিকঠাক করতে থাকেন আফিফ। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই বাঁহাতি ফেরেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে। ৩৭ বলের ইনিংসটি আফিফ সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে। ফরহাদ রেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মেহেদীর দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ।

শামীম পাটোয়ারি রান করতেই যেন ভুলে গেছেন। আজ তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান। শেষদিকে নাঈম ইসলামের ১৯ বলে অপরাজিত ২৫ রান ও শরিফুল ইসলামের ৬ বলে ১২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪৩ রান। খুলনার পক্ষে পেরেরা ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নেন ৩টি উইকেট।

জবাবে ওপেনিং জুটিটা ভালো হয়নি খুলনার। করোনা মুক্ত হয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকার আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বেনি হাওয়েলের হাতে। সৌম্য ফেরেন ১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেন আগের ম্যাচে মাথায় চোট পাওয়া ফ্লেচার ও তিনে নামা রনি তালুকদার। রনি ১৮ বলে ১৭ রান করে নাসুমের শিকারে পরিণত হলে ভাঙে এই জুটি।

তৃতীয় উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৪৬ রানের পার্টনারশিপের পথে ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার। তার ৫৮ রানের ইনিংসটি থামান মিরাজ। ৪৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান ফ্লেচার। এই ক্যারিবীয় দলীয় ৯৮ রানে আউট হলেও বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। ততক্ষণে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে খুলনা।

মুশফিকের ৩০ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের কল্যাণে ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় খুলনার। মুশফিক নিজের ইনিংসটি সাজান ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মাঝে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button