
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি সিলেট থান্ডার বনাম কুমিল্লা ওয়ারিয়রস। লো স্কোরিং এই ম্যাচে ৯৬তে অলআউট সিলেট আর ৮ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা পায় কোনোরকম জয়।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবহাওয়া ও পিচের উপর ধারণা করে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এ ম্যাচে উইকেট নিয়ে রয়েছে ঢের আলোচনা। আলোচনা রয়েছে দেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়েও। তবে লো স্কোরিং এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল ভরপুর।
সিলেট ইনিংস
স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কলিন ইনগ্রাম, রবি বোপারা, কেসরি উইলিয়ামসও সুবিধা করতে পারেননি। দলটির হয়ে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁয়েছেন মাত্র ৩ জন। সর্বোচ্চ রান এসেছে ওপেনার কলিন ইনগ্রামের ব্যাট থেকে, ২১ বলে ২০ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মিস্টার এক্ট্রার, ১৯ । তৃতীয় সর্বোচ্চ রান রবি বোপারার, মাত্র ১৭। এছাড়া সোহাগ গাজী করেছেন ১৯ বলে ১২ রান।
আর বাকি সবাই সিঙ্গেল ডিজিটেই ফিরেছেন সাজঘরে। ওপেন করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ফেরেন দলীয় ৭ রানে। ব্যক্তিগত ৩ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের আলো ছাড়ানো মোহাম্মদ মিঠুন। অফ স্পিনার নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
অধিনায়ক মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৬ বলে ৩ রান। অভিজ্ঞ অলোক কাপালি করেছেন ১৪ বলে ৬ রান।
মাত্র ৯৬তে অলআউট সিলেট সবগুলো উইকেট খুইয়ে। আর কুমিল্লার হয়ে নাহিদুল, করিম জানাত এবং মুস্তাফিজ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট।
কুমিল্লা ইনিংস
এদিকে ৯৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪র্থ ওভারে সোহাগ গাজীর বলে ক্যাচ দিয়ে ২ রান করে সাঁজঘরে ফেরেন ডু প্লেসি। আরেক ওপেনার ডেলপোর্ট গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৬ রান করে। তিনে নামা মুমিনুল হক ২০ বল খেলে ১৫ রান করেন আউট হন মোসাদ্দেক হোসেনকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে। মুক্তার আলির হাতে ক্যাচে পরিণত হন।
ইমরুল কায়েস ১০ ও আরিফুল হক ৪ রান করে ফিরে গেলে দলীয় ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা শিবিরে। পরে করিম জানাত এবং নাহিদুলের ২৭ রানের পার্টনারশিপে দল শঙ্কামুক্ত হয়। করিম করেন ১৮ রান। ১৬ বলে সমান ১৬ রান করে ফিরে যান নাহিদুলেও।
শেষ দিকে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে শহিদুলকে আউট করেন রবি বোপারা। এতে ৮৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।
শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৩৬ বলে ১৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ২ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে অপু নেন ৩টি উইকেট; মোসাদ্দেক এবং সোহাগ গাজী উইকেট নেন ২টি করে।
ব্যাট হাতে ১৬ ও বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ায় প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন নাহিদুল ইসলাম।